বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ টন খাদ্যঘাটতি হয়। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বাংলাদেশের খাদ্যঘাটতির একটি প্রধান কারণ। অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে কৃষিপ্রধান দেশ হয়েও বাংলাদেশে খাদ্য-সংকট দেখা যায়। জমির তুলনায় আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি। তাই অতিরিক্ত মানুষের খাদ্যচাহিদা মেটাতে আমাদের প্রতিবছর বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হয়। খাদ্যের অভাব হলে শিশুসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী পুষ্টিহীনতায় ভোগে। খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট দেশের ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত জনসংখ্যার বসতি স্থাপনের জন্য কৃষিজমির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই হয়ে পড়ছে গৃহহীন।
এছাড়া শিক্ষার ক্ষেত্রে সফলতা আসা সত্ত্বেও সম্পদের তুলনায় অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে শিক্ষার হার বাড়ছে না। ফলে শিক্ষা খাতে প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না। অনেক দরিদ্র মা-বাবা তাঁদের সব সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না। আবার অনেক দরিদ্র বাবা-মা তাঁদের সন্তানের শিক্ষার খরচ চালাতে না পারায় বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ না করেই ঝরে পড়ে।
ইতিমধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। দরিদ্র বাবা-মায়ের সন্তানদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে যাচ্ছি। এছাড়া খাদ্যঘাটতি মেটাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু কার্যক্রম আমরা সফল ভাবে শেষ করেছি। এবং ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।